যারা ইংরেজিতে একটু দুর্বল এবং যাদের ইংরেজির ভালো সহায়িকা বই কেনার সমর্থ্য নেই, তাদের জন্য আমাদের আজকে রয়েছে বিশেষ এক আয়োজন। WBCHSE Class 11 English 1st Semester, R.K.Narayan'র লেখা "An Astrologer’s Day" গল্পটির সম্পূর্ণ বিষয় সংক্ষেপ (Complete Bengali Summary) তোমাদের জন্য শেয়ার করা হলো আজকের এই ব্লক পোস্টে। আশা করি আমাদের অভিজ্ঞ ইংরেজি শিক্ষক সাইদুল্লাহ স্যারের এই লেখনি পড়ে 'An Astrologer's Day' গল্পটির মূল বিষয় সংক্ষেপ তোমাদের কাছে একেবারেই পরিষ্কার হয়ে উঠবে।
WB Class 11 English : 'An Astrologer’s Day'by R.K. Narayan- Full Summary in Bengali
RK Narayan এর 'An Astrologer's Day'গল্পটি শুরু হয় এক জ্যোতিষীর চেহারার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে। তাঁর বাহ্যিক চেহারা ভীষণই আকর্ষণীয়, পবিত্র ছাই ও সিঁদুরমাখা কপাল, ঘন কালো গোঁফ, উজ্জ্বল দুটি চোখ এবং মাথায় গেরুয়া রঙের পাগড়ি। 'তাঁর সামগ্রিক পরিধান দেখে তাঁকে একজন প্রকৃত জ্যোতিষী বলেই মনে হয়, যদিও তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের তেমন কিছুই জানেন না। তাঁর কাজের জন্য তিনি নির্ভর করেন নিজের বুদ্ধিমত্তা, পর্যবেক্ষণ শক্তি এবং মানুষের আচরণ সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণার ওপর।
প্রত্যেকদিন দুপুরবেলা টাউন হল পার্ক নামক জনবহুল জায়গায় একটি তেঁতুল গাছের নীচে তিনি তাঁর ব্যাবসা শুরু করে। বিভিন্ন বিক্রেতাদের দ্বারা আকর্ষিত হয়ে বহু পথচারী এই সরু রাস্তায় ভিড় জমায়। এই স্থানে পৌরসভার আলোর কোনো বন্দোবস্ত নেই ফলে দোকানগুলির আলোতেই রাতে স্থানটি আলোকিত হয় এবং একটি বিভ্রান্তিকর মৃদু আলোছায়ার পরিবেশ তৈরি করে। জ্যোতিষীটির নিজস্ব কোনো আলো নেই তাই তিনি প্রতিবেশী দোকানগুলির আলোর উপর নির্ভরশীল।
একদিন রাত্রে তিনি বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন এমন সময় তাঁর দেখা হয় এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁকে সম্ভাব্য খদ্দের মনে করেন এবং তার অস্থিরতা অনুমান করে জ্যোতিষী তাকে নিজের কাছে ডেকে বসতে বলেন এবং বাক্যালাপ শুরু করেন। অপরিচিত ব্যক্তিটি জ্যোতিষীর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ তর্কবিতর্কের পর তাদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়। জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী শুরু করতে যাবেন হঠাৎ দেশলাইয়ের আলোতে এক বালক সেই অপরিচিত ব্যক্তির মুখটি দেখে তিনি অস্বস্তি বোধ করেন এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে চান না। অবশেষে অপরিচিত ব্যক্তির হুমকির পর এক টাকার জন্য তিনি কথা বলতে রাজি হন।
তিনি অপরিচিত ব্যক্তিটির অতীত সম্পর্কে বলেন যে তাকে বুকে ছুরির আঘাত করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে ব্যক্তিটি তার অপরাধী সম্পর্কে জানতে চায়। তৎক্ষণাৎ জ্যোতিষী উত্তর দেয় অপরাধী একটি পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এ ছাড়াও জ্যোতিষী তাকে তার নাম গুরু নায়ক বলে সম্বোধন করে এবং তাকে নিজের গ্রামে ফিরে যেতে আর কখনও এই এলাকায় না আসতে উপদেশ দেন। জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে এবং তাতে সন্তুষ্ট হয়ে গুরু নায়ক তাকে এক মুঠো পয়সা দিয়ে সেই স্থানত্যাগ করে। যখন জ্যোতিষী বাড়ি ফিরে আসেন তাঁর অপেক্ষারত স্ত্রী সেই দিনের উপার্জন দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে।
কিন্তু স্বামীকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখে সে কারণ জিজ্ঞাসা করে। সেই রাত্রে জ্যোতিষী স্ত্রীর কাছে সত্য ঘটনা প্রকাশ করেন যে কোন্ কারণের জন্য তাঁকে গ্রাম ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। তিনি স্বীকার করেন একদা যুবক বয়সে নেশা করে তিনি বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং এক ব্যক্তিকে ছুরির আঘাতে হত্যা করার চেষ্টা করেন। তাই তিনি নিজেকে এতদিন খুনি ভাবতেন কিন্তু আজ তাঁর মন থেকে সে বোঝা দূর হয়েছে কারণ তিনি জানতে পেরেছেন সেই ব্যক্তি জীবিত আছে। তাই আজ তিনি শান্তিতে ঘুমোবেন।
গল্পটির শেষে একটি অপ্রত্যাশিত মোড় আসে, যেখানে পাঠক জানতে পারে, জ্যোতিষীই সেই ব্যক্তি যাঁকে গুরু নায়ক এতদিন খুঁজে বেরিয়েছে, কিন্তু তাঁর সাথে দেখা হওয়ার পরেও তাঁকে চিনতে পারেননি। অপরদিকে জ্যোতিষী যিনি এতদিন নিজেকে খুনের অপরাধী ভেবে এসেছেন আসলেই তিনি সেই অপরাধ করেননি।
Post a Comment